যেন প্রভেদ নেই
-
শীতলিত চোখের
পাতা আর
কুয়াশাচ্ছন্ন
শীতের প্রাতের ।
স্বপ্নের সিঁড়ি
বেয়ে বেয়ে
সর্বভূক অমাবস্যার
অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াই
নীলৎপল চাঁদ ।
নিদাঘ রোদে রাজ
পথের শরীর পোড়ে-
জ্বর আসে ।
থিওসফিস্ট হই,
মুক্তি খুঁজি
তারপরেও তলিয়ে
যেতে থাকি ।
জাহ্নবীর জলে
স্নান সেরেও যেন থিতিয়ে উঠি ।
বুকের অগ্নিগর্ভ
তথাপি আসমুদ্র উত্তাল ।
পঞ্চমী তিথি ধূসর
ছায়া ফেলে ।
নস্যি ভাবনার
দুরন্তপনায় ।
গড়ি প্রতিমা,
দেই নৈবেদ্য ,
করি মূর্তি পূজা
।
অন্তর্লীন বিষাদে
পৃথিবী তার রং বদলায় ।
শুধু বদলায়না
-
অবোধ বালিকার
নিকোষ পূজাচ্চর্ণার ।
( উৎসর্গ - আমার বাবাকে
)
0 মন্তব্য:
Post a Comment