-পালকি ভাঙ্গনের শব্দ
শুনেছ? কেমন দস্তুর মতো ভাঙ্গছে আজকাল চারপাশ! যত্নে রাখা জীবন
সঞ্জিবনীর সুরা পাত্রও ভাঙছে দেয়ালের মৈথুন চিত্রটিও নরকনৃত্য তোলে খসে পড়ছে
মৃৎপাত্রের মতো!
-সীমান্ত, বুকের ভেতর
রাজপ্রাসাদের ভাঙ্গন ই তো আজকাল টের পাইনা যেমন করে খোঁজ পাইনা, বারো ভাঁজের কষ্ট শাড়ীতে
বারুদ মাতম। চোখ মেলবার আগেই মেনথল ঝাঁজে আমি রোজ গরম তরল বিসর্জন দিই। তোমার
ভাঙ্গন চোখে দেখা যায়! আমার ভাঙ্গন যায় না গাথাঁ নয়নে।
-তুমি কাঁদতে ভালবাস? -অনেক কিছু ভালোবাসার মাঝে এটাকেও নথীভুক্ত করেছিলাম
একদিন। তারপর নথী ভাসিয়ে দিলেম কালীগঙ্গার ঘাটে। এখন নষ্ট স্মৃতি ফেলে দিয়ে তাতে
আনন্দ ভরে নিয়েছি তারপর চোখ সুঁইয়ে গেখেঁছি সুখ সুতোর ফোয়ারা
-কখনো কখনো তোমার স্মৃতি
পানশে হয় কি? কিংবা তোমাকে চন্ডি করে তুলতে চায় কি
বৈরাগ্য মন?
-আমার স্মৃতি বড্ড পাথর; এত অল্পতে ক্ষয়ে যায়না
আমি খুব তীক্ষ বৃষ্টিধারার মতো; জাগ্রত কিন্তু অভিমানিনী নই অপবোধ
দুমরাই-মোচরাই কিন্তু নির্মূল করিনা।
-পালকী কখনও আগুন স্পর্শ
করেছ? আজ বড় বাজে কথা বলছো সীমান্ত? আগুনে যে হাত পুড়ে কয়লা
হয়ে আছে দেখতে পাচ্ছো না! বলতে পার, যে আগুনে কমবেশি সবাই পুড়ে সে আগুনে আমিই
বা বাদ যাব কেন!
0 মন্তব্য:
Post a Comment