• সানগ্লাস - ফ্যাসনের সাথে হবে রোগ প্রতিরোধ

    সানগ্লাস কেন পড়বেন এমন প্রশ্নের উত্তরে অনেকের চিন্তায় প্রথমে আসে ফ্যাশন। অবশ্যই সানগ্লাস ফ্যাশনের একটি বড় অংশ জুড়ে আছে। বলা যেতে পারে সানগ্লাস পৃথিবীর সকল দেশে ও সমাজে “কমন ফ্যাশন” হিসেবে গণ্য করা হয়....

  • ফটোগ্রাফির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

    একাদশ শতাব্দির দিকে আরবের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আল হাসান ইবন আল হাইতাম প্রথম ক্যামেরার তত্ত্ব আবিষ্কার করেন। যদিও তার ক্যামেরা ছবি তোলার জন্য ব্যবহার হয়নি, বরং সূর্যগ্রহণ দেখার কাজের জন্য ব্যবহার ক টেকনিক দ্বারাই ছবি তলার ক্যামেরার সূত্রপাত হয়।

  • কেমন ছিল বাংলাদেশের চলচ্চিত্র

    একটা সময় ছিল যখন পত্রিকার পাতা খুললে নতুন সিনেমার বিজ্ঞাপন পাওয়া যেত।কোন্ পেক্ষাগৃহে কোন্ চলচ্চিত্রটি চলছে, কত সপ্তাহ ধরে চলছে এই বিষয় গুলো জানার কৌতুহল সমাজের সব শ্রেণীর পেশাজীবি মানুষের ছিল। োর তি ছিল প্রচুর। স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা শেষ

  • জু কিপার/ মাশুদুল হক

    সন্ধ্যার দিকে একটু বেড়িয়েছিলাম, টুকটাক কেনাকাটার কাজ ছিল। বাইরে টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছিল। সঙ্গের ছাতাটা পুরনো, দেখতে কিম্ভুতকিমাকার।

  • আরো তিনবার ব্যালন জিততে চান রোনাল্ডো

    একজন । ফুটবলার হিসেবে যা যা অর্জন করা সম্ভব তার সবটাই অর্জন করেছেন তিনি । পাঁচটি ব্যালন ডি অর, দুটি ফিফা দ্য বেস্ট সহ ব্যাক্তিগত অনেক পুরুষ্কার জিতেছেন। দলীয় অর্জনে দুটি ক্লাবের হয়ে জিতেছেন ইউরোপিয়ন চ্যাম্পিয়নস্ লীগ। জিতেছেন ক্লাব বিশ্বকাপ, লা লীগা ও ম্যানচেস্টারের হয়ে জিতেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ। কোন ফুটবলার তার ক্যারিয়ারের এত কিছুর প্রাপ্তি স্বপ্নেও দেখে না কিন্তু

Wednesday, May 17, 2017

জিয়ন কাঠি - সীমা কর




পৃথিবীর আলো বাতাস দেখার আগেই আমার গর্ভের প্রথম ছেলে সন্তানটি মারা যায় , তার প্রায় দুই বৎসর পর আমার একটি মেয়ে হয় । কন্যা সন্তানটিকে বুকে জড়িয়ে নিজেকে মনে হতে লাগল মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জননীর সেই মা । আবহমান বাংলার চিরায়িত সেই মায়ের রূপের ছটা আমার শিরায় উপশিরায় তরঙ্গায়িত হতে লাগলো প্রতিটি মুহূর্তে ,আমাকে আমার মাঝে নতুন করে আবিস্কার করার পুলকে আমি বিহব্লিত  চাঁদ ,তারা ,আলোর মধ্যেখানে আমার  কন্যার মুখটিই তখন আমার পৃথিবী । অথচ এই সুখের অনুভূতি ফিকে হয়ে যায় যখন দেখি চারপাশের মুখের রং গুলি কালো । যারা পরম বন্ধু ,আত্মার আত্মীয় সেই মানুষগুলো প্রায়শই বলতো , ‘ তোর মেয়ে হবে রে !। যেনো এক বিশাল বড় বিপদ আমার সামনে অপেক্ষা করছে , কালো মেঘের আভাস আমার ললাটে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সেই কারনেই আমার ভালোবাসার মানুষদের কপালে চিন্তার ভাঁজের মাত্রাটাও মাত্রাতিরক্ত । লিঙ্গ বৈষম্যের অদৃশ্য কালো দীঘির জল আমার বুকেও কি ছলাৎ ছলাৎ করে শব্দ করেনি । করেছে তো । আমি সেই অদৃশ্য জলের নদীতে বৈঠা বেয়েছি নিরন্তর । বহু বছর পর কন্যার মুখে নিজের ছায়ার রূপ দেখে আমি আপন মনে এক অলিখিত সনদে স্বাক্ষর করেছি ;আমার নবজাতকের জীবনে গ্রহণের কালো ছায়া আসতে দিবো না  সে শুনবে না কোন ও গোপন জলের শব্দ ।

 নিজের ইচ্ছাশক্তিতে জানতে শিখেছি প্রীতিলতার কথা , বেগম রোকেয়ার কথা , উপলব্ধি করেছি শহীদ জননী জাহানারা ইমাম , ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী সহ একাত্তরের নারীদের সংগ্রামি জীবনের বন্ধুর পথকে। ছুটে গিয়েছি সীমানা ডিঙ্গিয়ে রানী লক্ষ্মী বাই , ইন্দিরা গান্ধী , মাদার তেরেসা , ফ্লরেন্স নাইটিঙ্গেল , মাদাম কুরি , ভেলেনতেনা তেরেস্কোভা ,কল্পনা চাওলা , সুনিতা উইলিয়াম তাদের জীবনের আঙ্গিনাতে । ভেবেছি এরাই আত্মার পরম আত্মীয় আমার । সমস্ত পৃথিবীটা ঘুরে এলে আমার এমন আত্মীয় অনেক ; কাকে রেখে কার কথা বলি  বললেও বলা ঠিক ঠিক মতো হল কিনা , কতো কম ; কতো বেশি হবে এ ভাবনায় মনকে শুধু তাড়িয়ে বেড়ায় । নারী একদিন যোগী সেজেছিলও ,সতীত্বের প্রমান দিতে রুপকথার নারীকে সমাজ ঘর থেকে বাইরে এনেছিলও । পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে তৈরি মানুষের লীলা সঙ্গী সেদিন তাই স্বামীর জীবন ফিরিয়ে দিয়ে ইতিহাসে নারী জীবনকে জয় মাল্য পরিয়েছিল পরম আদরে । বাস্তবের নারী স্বর্গের নর্তকী থেকে হয়ে গেলো পৃথিবীর ডাইনী ,সে আর বেহুলার মতো জীবনের জয়মাল্য গলায় পরতে পারলো না । তার বদলে তাকে খাওয়ানো হলো আফিম ; স্বামীর পরলোক গমনে আফিমের গন্ধে নাক মুখ ডুবিয়ে জীবন্ত আগুনে পুড়ে তাকেও করতে হল অগস্ত যাত্রা । আর বেঁচে গেলেও সে হল  সেবাদাসি , সে হলও  লুটের মাল , তাকে ভাগ করা যায় নানা ভাগে । তাকে নিয়ে শুরু হল  যোগ বিয়োগের হিসাব । বহুমাত্রিক অপমান ,অনির্ধারিত নির্যাতন আর নিষ্পেষণে কখনো সে অন্দরমহলের রঙ মঞ্চের নটি বিনোদনী , কখনো ঘরের অলংকার; ফুলদানীর ফুল কেবল জীবন্ত নারী সমাজের অভিশাপ । তবু কি নারী বসে আছে কষ্টের ভিতর ? যন্ত্রণার যাঁতাকলে পিষ্ট হয়েই বন্ধুর পথের আলোকবর্তিকা হয়েছে এই নারীই । পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সত্যের আঁধার নারী শক্তির ভেতর থেকেই বেড় হল নারী জীবনের অস্তিত্বের লড়াই  জীবনের সংগ্রামের পথই হল নারীর পরম বন্ধু । অস্তিত্বের দাবী নিয়ে নারী পথে নামলো ,সে পুরুষের পাশে বসে ইট ভাঙে , রিক্সা চালায় ,হিমালয়ে যায় , এমনকি অসুর্যস্পর্শারা এখন মহাকাশেও যায় মানুষের সমান দক্ষতায় । মহাকাশ থেকে ফিরে এসে দেশ চানালোর মহাশক্তিও তার ভেতরে জন্মায় সেকি কোন ভিন গ্রহের আশীর্বাদে ? না কি পথের শক্তি থেকে একটু একটু করে সিঞ্চিত রস তার পরতে পরতে জমে তাকে করে তুলল উর্বর , সে হলো মহাকালের সাক্ষী ।

কবির অভিযোগ ছিল বিধাতার কাছে নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার অধিকার তিনি কেনও দিলেন না , হায় সে বিধাতা যে স্বর্গে নয় , মর্তে; কবি কি তা জানতেন ? আর সে পুরুষ বিধাতা বিনা যুদ্ধে নাহি দিবে সুচাগ্র মেদেনি  পুরুষ যে জগতে যুগে যুগে এসেছে , প্রতিবার নারীকে কাঁদিয়েই এসেছে । তবু তার অহংকার সে পুরুষ।                                                                        
 যে পুরুষ নারীকে ডাইনি রুপে কল্পনা করেছে সেই বংশলতিকা কখনই নারীকে ভালবাসেনি , শ্রদ্ধা করেনি , মানুষ ভাবেনি । যে পুরুষ নিজের সত্ত্বাকে শক্তির কাছে ম্লান করেনি , নিজেকে আর নারীকে ভেবেছে পাশাপাশি মনুষ্য প্রকৃতি সে যুগে যুগে ভেঙ্গেছে নারীর অর্গল , খুলেছে নতুন দুয়ার । নারী এতদিন ছিল পুরুষের পথের মঙ্গল দীপ ,এখন তার পথেও যে কেউ একজন মঙ্গল দীপ জ্বালাবে সেই যুগ তো এসেছে । নারীর নব জাগরনের উৎসব হয় এখন ঘরে ঘরে । মাতৃত্বের সত্যিকে মেনে নিয়ে একদিন নারী ভালোবেসেছিল গৃহ , সেই গৃহ তাকে বাষ্পীয় সম্মান দিয়েছে কিন্তু বাস্তব অধিকার দেয়নি । যখন তার অধিকার আদায়ের সময় হল তখনই জানলোও সে শক্তির জোরে পৃথিবী পরাস্ত । এখন একই পৃথিবীতে সে তার অধিকার আদায় করে নিয়েছে । পুরুষের বহু পিছনে দাঁড়িয়েও সে পৌঁছে গেছে তার কাংখিত লক্ষ্যে। ইট ভাঙ্গা নারীর ঘর্মাক্ত হাত ,আর নভোচারী নারীর কর্মের মহোৎসব মিলে যাক কাজের হোমযজ্ঞে । কর্মই নারীকে তার প্রাপ্য সম্মান দিয়েছে। 
    

যে মেয়ে শিশু আজ জন্ম নিল তাকে আমি দুহাত বাড়িয়ে বরণ করি পরম আনন্দে । তাকে আশীর্বাদ করি যেন তার আগমনে ধরণীর ধুলি রঙিন হয়ে উঠে । সেই আনবে আরেক নতুন দিন । নতুন যুগের শুভ সূচনা হোক তার পায়ের চিহ্ন এঁকে ।    

লিখেছেন - সীমা কর


কেমন ছিল বাংলাদেশের চলচ্চিত্র




একটা সময় ছিল যখন পত্রিকার পাতা খুললে নতুন সিনেমার বিজ্ঞাপন পাওয়া যেত।কোন্‌ পেক্ষাগৃহে কোন্‌ চলচ্চিত্রটি চলছে, কত সপ্তাহ ধরে চলছে এই বিষয় গুলো জানার কৌতুহল সমাজের সব শ্রেণীর পেশাজীবি মানুষের ছিল। সিনেমা ভিত্তিক ম্যাগাজিন গুলোর কাটতি ছিল প্রচুর। স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা শেষ পরীক্ষাটি দেয়ার পরেই সবাই দল বেঁধে স্থানীয় প্রেক্ষাগৃহ গুলোতে হুমড়ী খেয়ে পড়ত।  টিকিট কাটা ছিল রীতিমত বিভীষীকাময় এক অধ্যায়। প্রতিটি বন্ধুচক্রের কোন একজন সচতুর চটপটে বন্ধুর উপর এই বিশেষ দ্বায়িতটি ন্যাস্ত করা হতো। শুধু এই কারনেই বন্ধমহলে তার একটি বিশেষ অবস্থান থাকত। স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে চুপিচুপি সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার প্রবনতা ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে।

প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে থাকত উপচে পড়া ভীড়। এমনও দেখা গেছে সীমিত আসন সংখ্যার বাইরে আলাদা কাঠের চেয়ার বসানো হতো।  টিকিট কালোবাজারীদের দৌড়াত্ব সামলাতে হীমসীম খেতো প্রেক্ষাগৃহের মালিক ও কর্মচারীরা। প্রতিমাসে স্বপরিবারে সবাই মিলে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা উপভোগ করার একটা রেওয়াজ ছিল।  প্রিয় নায়ক-নায়িকদের সাক্ষাৎকার সবাই আগ্রহ নিয়ে পড়ত। ভক্তরা তাদের পছন্দ অপছন্দের সব খুঁটিনাটি বিষয়গুলো খোঁজ খবর রাখত। রেডিও টেলিভিশনে সিনেমা ভিত্তিক অনুষ্ঠান গুলো অনেক জনপ্রিয় ছিল। সিনেমার গান নিয়ে অনুষ্ঠাণ ছায়াছন্দতখন বিটিভির অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান গুলোর একটি। সেসময় সামাজিক জীবনে এদেশে চলচ্চিত্রের প্রভাব ছিল সুস্পষ্ট।

কালের আবর্তে আজ সব হারিয়ে গেছে। সব কিছু আজ আরব্য রজনীর গল্পই মনে হয়। আজ আমাদের চলচ্চিত্র নিয়ে তরুন সমাজের  কোন আগ্রহ নেই। নেই সেই আগের উন্মাদনা। অথচ এমনটা হবার কথা ছিল না। আজ আমাদের চলচ্চিত্রের এই রুগ্ন করুন অবস্থা কেবল আফসোস আর হারাবার কষ্টই যোগায়।

চলচ্চিত্রকে বলা হয় সবচেয়ে শক্তিশালী গনমাধ্যম। চলচ্চিত্রকে বিবেচনা করা হয় সমাজের দর্পন। পৃথিবীর প্রতিটি সমাজ ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে চলচ্চিত্র। একটি সমাজ ; শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে কতটা সমৃদ্ধ তারই দূত হিসেবে কাজ করে চলচ্চিত্র।

স্বাধীনতার পূর্বকালীন আমাদের চলচিত্র রেখেছিল বিশেষ ভূমিকা।স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে এদেশের চলচিত্রের বানিজ্যিক উত্থান ঘটে। তখন টেলিভিশন সেট আজকের মত সহজ লভ্য ছিল না। দেখা যেত কোন বাড়ীতে টেলিভিশন থাকলে সেখানে পুরো মহল্লার মানুষ এসে জড়ো হতো। তবে বিনোদনের সহজ লভ্য হিসেবে সিনেমা ছিল মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের প্রথম পছন্দ। সেই সময়ের দেশীয় সিনেমার আকাশ ছোঁয়ার জনপ্রিয়তার কারনের মূলে এটা ছিল না। সত্তর, আশি ও নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ের সিনেমা গুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সেই সময়ের চলচিত্র গুলো সমাজের সকল শ্রেনীর মানুষের বাস্তব জীবনের টানাপোড়ন, আশা, আকাঙ্ক্ষা, হতাশা, আনন্দ,সুখ, দুঃখের সাথে স্বপ্নময় ও কাল্পনিক জগতের একটি অপূর্ব শৈল্পিক মিল বন্ধন ছিল। ঐ সময়ের চলচ্চিত্র গুলো সাধারন মানুষের কল্পনা জগতকে বিশেষভাবে আন্দোলিত করতে সক্ষম হয়েছিল। তখনকার চলচ্চিত্রে প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধার  অপ্রতুলতা থাকা সত্ত্বেও নির্মান শৈলীতে যঠেষ্ট নান্দনিক শৈল্পকিতার ছাপ থাকত। অথচ বেশীর ভাগ কলা কুশলীদের চলচ্চিত্র বিষয়ক তেমন কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহন করার সুযোগ ছিল না। প্রতিটি শিল্পীর অভিনয় সম্পর্কিত ব্যাবহারিক জ্ঞান ও দক্ষতা ছিল দীর্ঘদিনের সাধনা, আত্মত্যাগ, গভীর মনোনিবেশ, কাজের প্রতি শ্রদ্ধা ও আত্মনিয়োগের ফসল। তাই তাদের অভিনয় মানুষের হৃদয়ের খুব কাছে চলে যেতে পারত। পর্দায় প্রতিটি অভিনেতা অভিনেত্রী দর্শকের কাছে তাদের চরিত্র গুলোকে বাস্তব ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন।

তাহলে বর্তমানে প্রজন্মের কাছে এ দেশীয় চলচিত্র কেন হারোনা অতীত গৌরব হাতড়ে বেড়াবে?  বিষয়টিকে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন ও গবেষণার মধ্য দিয়ে এখনি এর উত্তরণের পথ বের করতে হবে।

কোন একক কারনে আজকের এমন করুন পরিণতি নয়। এর মূলে রয়েছে নিতি নির্ধারকদের অদুরদর্শিতা ও অপরিণামদর্শিতা। স্বাধীনতা পরবর্তী কালীন সময়ে ছিয়াত্তর সালের দিকে এদেশের মানুষের সাথে বিদেশী চলচ্চিত্রের পরিচয় ঘটে। তখন বিটিভিতে মুভি অব দ্যা উইক এ হলিউডের ইংরেজী সিনেমা গুলি প্রচারিত হতো। ভারতীয় বাংলা সিনেমা প্রচারিত হত নিয়মিত ভাবে। তখনকার প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগ ছিল প্রশংনীয় যা পরবর্তীতে এদেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।  আশি দশকের মাঝামাঝি সময়ে ৮৩/৮৪ সালের দিকে বাংলাদেশে ভিডিও ক্যাসেট রেকর্ডার(VCR) এবং ভিডিও ক্যাসেট প্লেয়ার(VCP) বানিজ্যিক ভাবে আমদানী শুরু হয়। তখন থেকেই মূলত বৈধ ও অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশে বিদেশী চলচ্চিত্রের প্রসার ঘটে বিশেষ করে হিন্দি সিনেমার। প্রতিটি পাড়া, মহল্লা, গ্রামে গঞ্জে, শহরের অলিগলিতে গড়ে ওঠে অসংখ্য ভিডিও লাইব্রেরীর দোকান। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ভিডিও ক্যাসেট তখনো বানিজ্যিক ভাবে বাজারের ছাড়া হয়নি। কেন হয়নি সেটাও একটি বড় প্রশ্ন। সে সময়েও এখানকার মতো হলিউড বলিউডের সেলুলয়ডের ফিল্মের সিনেমা গুলো মুক্তির কয়েক মাস পরে ভিডিও প্রিন্ট বাজারের ছাড়া হতো। কিন্তু দেশে বাজার থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে তা কখনই হতো না।  আর এই ঘাটতি দখল করে হিন্দি সিনেমা গুলো। ভাষাগত ভাবে হিন্দি ভাষা বোঝা সহজতর হবার কারনে এদেশের মানুষের কাছে হিন্দি ভাষার সিনেমা গুলো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যার ফলে এদেশের চলচ্চিত্র গুলো একটা অনাকাঙ্খিত অসম প্রতিযোগিতার পরে যায়। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে হিন্দি ছবি গুলোর একটি কপি থেকে হাজার হাজার কপি করা হতো। আবার সেই কপি থেকে খুচরা ভিডিও লাইব্রেরীর ব্যাবসায়ীরা লাখ লাখ কপি করে ব্যাবসা চালত। এই অপকর্ম করা হতো কপি রাইট আইনের নীতিমালা ভেঙ্গে। ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৬২ এর অর্ডিন্যান্সের ইনটেলেকচুয়্যাল প্রপাটির লর অধীনে ছিল কপিরাইট আইনটি। যা মেধাস্বত্ত আইন নামেও পরিচিত। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালে এই আইনটির আর কিছু সংযোজন বিয়োজন করে প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু অন্যন্যা অনেক আইনের মত এই আইনটির বাস্তব ব্যাবহার না হওয়ার সুযোগে আমাদের সমাজের সর্ব স্তরে হিন্দি চলচ্চিত্র পৌঁছে যায়। যার ফলে আশির দশকের শেষে ও নব্বই দশকের শুরু দিক থেকে আমাদের চলচ্চিত্রের বাজার অনেকাংশে দখল করে নেয় ভারতীয় চলচ্চিত্র গুলো।  যদিও বাংলাদেশের কোন প্রেক্ষাগৃহে ভারতীয় সিনেমার প্রদর্শনের অনুমোতি পায়নি। কিন্তু তা স্বত্তেও আমরা ভারতীয় চলচ্চিত্রের কাছে থিতু হয়ে পড়ি। এর প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রেও।



নববই সালে এদেশের বানিজ্যিক চলচ্চিত্রগুলোতে হিন্দির সিনেমার গল্প ও গানের প্রভাব দেখা যায়। ততদিনে ভিসিপি এবং ভিসিআর বাংলাদেশে সহজলভ্য হয়ে উঠে।প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে হিন্দি সিনেমা। শহর থেকে গ্রামে সবর্ত্র হিন্দি সিনেমা আমাদের সামাজিক জীবন প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। তখনো স্যাটেলাইট টিভির প্রচলন শুরু হয়নি কিন্তু ততদিনে আমরা আমাদের নিজস্ব বাজার হারিয়ে ফেলেছি। নিজস্ব স্বকীয়তা হারালে সামাজিক জীবনেও তার প্রভাব দেখা যায়। এদেশের নীতি নির্ধারকরা সেসকল বিষয়গুলো নিয়ে কখনই কাজ করেনি। কিভাবে ধীরে ধীরে আমাদের সংস্কৃতি ধবংস হচ্ছে তা দেখেও না দেখার মত করে উপেক্ষা করেছেন স্বাধীনতা উত্তরনকালীন প্রায় প্রতিটি সরকার।

নব্বইয়ের মাঝামাঝি সময়ে স্যাটেলাইট টিভির প্রসার ও প্রচার ঘটে। এবং তা খুবই অল্প দিনের মধ্যে বাংলাদেশের স্থায়ী আসন করে বসে। বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমা এর আগে থেকে পাকাপোক্ত আসন করে ফেলেছে তার উপর স্যাটেলাইট টিভির আগমন এদেশের চলচ্চিত্রকে আরো ধবংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। তখনো বাংলাদেশে কোন স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ছিল না। তা সত্ত্বেও এর বাজারকে নিয়ন্ত্রন না করে বরং এর প্রসারে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে দেশের উচ্চ মহলের কর্তা ব্যাক্তিরা।

মূলত দেখা যায় এদেশের চলচ্চিত্রের অধঃপতন নিশ্চিত হয়েছে সুদর্শন নায়ক সালমান শাহ্‌ এর আকস্মিক মৃত্যুর পরে। হিন্দি সিনেমা দৌড়াত্বের যখন মধ্য বিত্ত শ্রেনী এ দেশের চলচ্চিত্র থেকে পুরোপুরি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। তখন সালমান শাহ্‌ তরুন তরুনীদের মাঝে একটা উন্মাদনা সৃষ্টী করতে পেরেছিল। তার সাবলীল অভিনয়, বাচন ভঙ্গী, শারিরীক ভাষা, ফ্যাসন, স্টাইল সবাইকে আকৃষ্ট করেছিল। কিন্তু তার মৃত্যুর পর পর এদেশের চলচ্চিত্রের মৃত্যু  হয়ে যায়। চরম ভাবে অনৈতিকতা আর অশ্লীলতা দখল করে নেয় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে। ব্যাপক দূর্নীতি অনিয়মের বেড়াজালের এ দেশের চলচ্চিত্রের ব্যাপারে সাধারন মানুষের আগ্রহ ও কৌতুহল সম্পূর্ন হারিয়ে যায়। তারপরেও যদি আমাদের সচেতনা সৃষ্টি না হয় তাহলে চলচ্চিত্রের মত এই বিশাল শিল্প ও বাজারটি আমাদেরকে অন্যের হাতে তুলে দিতে হবে। তবে আশার কথা হচ্ছে এখনো কিছু কিছু তরুনের মাঝে চলচ্চিত্রের ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। তারা বিভিন্ন প্রশিক্ষন গ্রহন, কর্মশালায় অংশ্রগ্রহন, এমনকি বিদেশী গিয়ে চলচ্চিত্র বিষয়ক পড়াশুনাও করছেন। তাদেরকে শ্রম ও মেধা বিকাশের জায়গাটা করে দিতে হবে আমাদের। হর্তা কর্তা ব্যাক্তিরা যদি এখনো ঘুমিয়ে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সুদুর প্রসারী ভবিষ্যৎ বলে কিছুই থাকবে না।


দুটি কবিতা





দুটি কবিতা
মাহী ফ্লোরা
১.
অতঃপর আপনাকে পাওয়া গেল প্রত্ন রোদের ভেতর। আপনি ঘোরের বন থেকে বেরিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলেন। জানলেন আমি এক নিঃসঙ্গ নদী। আপনাকে জানালায় পেয়ে বলেছিলো গোপন বনেদী রাত, রোদ আর জলে চিরদিন খেলা করে চিকচিক কুমারী। এখন আপনার হাতে যেন সুদীর্ঘ চিঠি! আপনার শব্দ ক্ষমতা, আপনি পড়লেন সুরে। গাইলেন এমন।যেন আপনার পাওনা হয়ে রইলো উষ্ণ চুম্বন। যেখানে চুম্বন কফির কাপে গলে গলে গ্যাছে।

২.
এই যে একটি জটিল চিঠি এসে আমার ডাকবাক্সে গড়ালো একাকি, কে তাকে রংধনু নামে পাঠালো! 
আমার অপেক্ষা সেদিন আকাশ। আমার হৃদয় জুনের সমুদ্র। দিন গেলে রাত্রি হয় রাত্রি হয় রাত্রি হয়। 
গড়াতে গড়াতে ছড়াতে ছড়াতে রাত্রি হয়। গভীর সুড়ঙ্গ পথ শেষে রাত্রি হয়। জলের ভেতর থেকে রাত্রি হয়। তুমি জানো চিঠিটা ভিজে গেছে। জল ভেজা জল বৃষ্টি আর সমুদ্রে সে চিঠি কে ভিজালো!

চোখ সুঁইয়ে গেথেঁছি সুখ সুতোর ফোয়ারা-সকাল রয়




-পালকি ভাঙ্গনের শব্দ শুনেছ? কেমন দস্তুর মতো ভাঙ্গছে আজকাল চারপাশ! যত্নে রাখা জীবন সঞ্জিবনীর সুরা পাত্রও ভাঙছে দেয়ালের মৈথুন চিত্রটিও নরকনৃত্য তোলে খসে পড়ছে মৃৎপাত্রের মতো!

-সীমান্ত, বুকের ভেতর রাজপ্রাসাদের ভাঙ্গন ই তো আজকাল টের পাইনা যেমন করে খোঁজ পাইনা, বারো ভাঁজের কষ্ট শাড়ীতে বারুদ মাতম। চোখ মেলবার আগেই মেনথল ঝাঁজে আমি রোজ গরম তরল বিসর্জন দিই। তোমার ভাঙ্গন চোখে দেখা যায়! আমার ভাঙ্গন যায় না গাথাঁ নয়নে।

-তুমি কাঁদতে ভালবাস? -অনেক কিছু ভালোবাসার মাঝে এটাকেও নথীভুক্ত করেছিলাম একদিন। তারপর নথী ভাসিয়ে দিলেম কালীগঙ্গার ঘাটে। এখন নষ্ট স্মৃতি ফেলে দিয়ে তাতে আনন্দ ভরে নিয়েছি তারপর চোখ সুঁইয়ে গেখেঁছি সুখ সুতোর ফোয়ারা

-কখনো কখনো তোমার স্মৃতি পানশে হয় কি? কিংবা তোমাকে চন্ডি করে তুলতে চায় কি বৈরাগ্য মন?
-আমার স্মৃতি বড্ড পাথর; এত অল্পতে ক্ষয়ে যায়না আমি খুব তীক্ষ বৃষ্টিধারার মতো; জাগ্রত কিন্তু অভিমানিনী নই অপবোধ দুমরাই-মোচরাই কিন্তু নির্মূল করিনা।

-পালকী কখনও আগুন স্পর্শ করেছ? আজ বড় বাজে কথা বলছো সীমান্ত? আগুনে যে হাত পুড়ে কয়লা হয়ে আছে দেখতে পাচ্ছো না! বলতে পার, যে আগুনে কমবেশি সবাই পুড়ে সে আগুনে আমিই বা বাদ যাব কেন!

সম্বোধন- আলী আফজাল খান







বাক্য বিন্যাসে অটুটতা বিনাশ নামায় ভাষা ও আমার ভিতর
ওকে সম্বোধনে কখনও তুমি আনিনি
কেন যেন এই কাঁটা ঠোঁটে হুল ফুটায়
বহু প্রহর ভেবেছি, চিন্তার আয়োজন হয়েছে বিপুল
তবু প্রস্তুতির চূড়ান্তে শুধু প্রলয় নেমেছে
হ্যালো, ‘আপনি কেমন আছেন
নিজের অজান্তে বেফাঁস পুরানো অভ্যাস
সেদিনও ওর নিবিড় প্রতীক্ষা-প্রত্যাশায় বাণ বিদ্ধ করেছি
চিঠিতে জানলাম ওর হিম রোদনের আর্তি
আমি এখনও আনাড়ী সম্বোধনে
শেষবার যখন ব্যর্থ হলাম বাক্য পরিবর্তনে
চোখের বৃষ্টি নামিয়েছে ওর ঘুম
আর সেই চিঠি আমার বুকে চেপে
নি:শ্বাস শুষে ম্রিয়মান করছে 
দলা পাঁকিয়ে যাচ্ছে বুকের কোষ 


অস্কার না পাওয়া সেরা ১০ তারকা




১৬ই মে বৃহস্পতিবার ১৯২৯ , হলিউডের  ইতিহাসে সূচনা হয় নতুন দিনের ইতিহাসের আমেরিকার ( সঠিক ঠিকানা লিখো)  রোজভেল্ট হোটেলে শুরু হয়েছিল  রুপালী পর্দার নামীদামী তারকা আর শক্তিমান অভিনেতা অভিনেত্রীদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান “একাডেমি অ্যাওয়ার্ড”  বর্তমানে যা “অস্কার” নামে খ্যাত।  সেই সময়ের পাঁচ ডলারের টিকিটের বিনিময়ে মাত্র ২৭০ জন দর্শক পনের মিনিটের সেই অনুষ্ঠানটি দেখার  বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন । সেই থেকে বিশ্ব চলচ্চিত্র  অঙ্গনে প্রতিটি অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের কাছে “অস্কার” প্রাপ্তি হয়ে ওঠে সর্বোচ্চ সম্মান ও স্বীকৃতির মাপকাঠি   ( আরও একটু ডিটেইলস লিখো এখানে )

এ পর্যন্ত অসংখ্য অভিনেতা ও অভিনেত্রী তাদের কাজের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরুষ্কার পেলে ও এমন কিছু  অভেনেতা ও অভিনেত্রী আছেন যাদের নাম শুনলেই সারা সিনেমা দুনিয়া কাঁপে , অথচ তারা এখনও নিজেদের ঝুলিতে অস্কার তুলতে পারেন নি  । চলচ্চিত্র অঙ্গনে দাপটের সাথে অভিনয় করে চলেছেন ,জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে একাধিক পুরুষ্কারও পেয়েছেন । কিন্তু ছুঁই ছুঁই করেও অস্কারের মঞ্চটা যেন তারা কিছুতেই ছুঁতে পারছেন না ।    এরকম দশ জন খ্যতিমান অভিনেতার নাম জানার পর অনেকেরই পিলে চমকে যাবে ,   লিওনার্দো ডি ক্যাপরিও , ব্র্যাড পিট অথবা “চ্যাপলিন” ছবির অভিনেতা রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। বহুবার মনোনীত হয়েছেন ,কিন্তু অস্কার পাননি এরকমই শক্তিমান দশ অভিনেতার গল্প বলছি এখানে ।

দশ
রবার্ট ডাউনি জুনিয়র।
রবার্ট ব্রাউন জুনিয়র ১৯৭০ সালে তার বাবার পরিচালনায় ক্যারিয়ারে প্রথম ছবি “পাউন্ড” এ অসধারন অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শক ও সমালোচকদের মন জয় করে নেন। তার উল্লেখ যোগ্য ব্যাবসা সফল ছবিগুলো হচ্ছে আয়রন ম্যান, আয়রন ম্যান ২, আয়রন ম্যান ৩, শার্লক হোমস্‌, শার্লক হোমস্ঃ এ গেমস্‌ অব স্যাডোস্‌, অ্যাভেঞ্জারস অ্যাসেমবলস্‌, ট্রপিক ঠান্ডার সহ আরো অনেক ছবি। আশি ও নব্বই দশকে তিনি  টাফ টার্ফ, উইয়ার্ড সায়েন্স, ট্রু ভিলিবার, ন্যাচারেল বর্ন কিলার এবং ওয়ান্ডার বয়েজ  এর মত ছবির কাজ করে যথেষ্ট সুখ্যাতি ও সম্মান অর্জন করেন। বিশেষ করে ১৯৯২ সালে “চ্যাপলিন” ছবিতে তার অভিনয় ছিল অনবদ্য। চ্যাপলিন এ অসাধারন অভিনয়ের জন্য তিনি অস্কার মনোনয়নও পেয়েছিল। কিন্তু তার অস্কার না পাওয়াটাই সকলকে বিষ্মিত করেছে। দীর্ঘ চল্লিশ বছর অভিনয় জীবনে তার অস্কার অপ্রাপ্তিই হচ্ছে একমাত্র অপূর্নতা।

নয়
আলবার্ট ফিনি
ইংরেজ এই অভিনেতা মঞ্চ অভিনয় দিয়ে তার পেশাজীবন শুরু করেন। ১৯৬০ সালে “ দ্য এন্টারটেইনার” ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়। একাধিক বার গোল্ডেন গ্লোব, বাফটা সহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করলেও পাঁচ বার অস্কার মনোনয়ন পাওয়া এই অভিনেতা একবারও অস্কার জিততে পারেনি।  ( আরেকটু বড় করো পারলে , পাঁচটা ছবির যেকোনো ২ টা নিইয়ে একটু গল্প বলও , তাঁর অভিনয় কেমন ছিল ব্লা ব্লা )


আট
এডয়ার্ড হ্যারিসন নরটন
অনেক খ্যাতিমান কলা কুশলীদের অস্কার মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কয়েক দশক অপেক্ষা করতে হয়েছে, সেখানে এডয়ার্ড নরটন তার পেশাজীবনের প্রথম ছবি “প্রাইমাল ফিয়ার” এ সেরা পার্শ্ব চরিত্র হিসেবে অস্কার মনোনয়ন পান। তার দু বছর পরে ১৯৯৮ সালে  “আমেরিকান হিস্টোরি এক্স” এ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে আরেকবার অস্কার মনোনয়ন পান।  কিন্তু তিনি  দু’বারের একবারও তাঁর ভাগ্যে অস্কারের সিকি ছিড়ল না

সাত
উইল স্মিথ
 চার বার গ্রামিও অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত ‘ দ্যা ফ্রেস প্রিন্স ‘ খ্যাত জনপ্রিয়  র‍্যাপার,  টেলিভিশনের একজন বড় তারকা এবং বক্স অফিস হিট করা অসংখ্য ছবির সফল অভিনেতা। ফোর্বস্‌ এর ধনী অভিনেতার তালিকাও তিনি  রয়েছেন। সর্বমোট চার বার গ্লোডেন গ্লোব ও দুই বার অস্কার মনোনয়ন পেয়েছেন।কমেডি, অ্যাকশন, সিরিয়াস সব চরিত্রে পারদর্শী এই অভিনেতা “আলী” এবং “পারস্যুট অফ হ্যাপিনেস” ছবি অস্কার মনোনয়ন পেলেও অস্কার তার কাছে এখনো স্বপ্নই রয়ে গেছে।

ছয়
জনি ডেপ
“ক্যারিবিয়ান পাইরেটস” এর সেই বিখ্যাত নাবিক চরিত্র ‘জ্যাকস স্প্যারো’র ভূমিকায় অভিনয় করেন জনি ডেপ। ২০১২ সালে  হলিউডে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের পাওয়া এই তারকার নাম গিনিস বুক অব রেকর্ডের পাতায় স্থান করে নেয়। তার সর্বাধিক ব্যাবসা সফল ছবি গুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যারাবিয়ান পাইরেটস্‌ এর সিরিজ, এলিস ইন ওউয়ান্ডার ল্যান্ড, চার্লি এন্ড চকোলেট ফ্যাক্টরী, এবং দ্যা টুরিস্ট উল্লেখ যোগ্য। “পাইরেটস্‌ অব ক্যারিবিয়ানঃ দ্যা কার্স অব ব্ল্যাক পার্ল”, “ফাইন্ডিং নেভারল্যান্ড”, “সুইনি টডঃ দ্যা ডিমন বার্বার অব ফ্লিট স্ট্রিট” এই তিনটি ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার মনোয়ন পেলেও তার অস্কার না জেতার আক্ষেপ রয়েই গেছে। যদিও গোল্ডেন গ্লোব, পিপপল্‌ চয়েস অ্যাওয়ার্ড, এমটিভি মুভি অ্যাওয়ার্ড সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এই গুনি অভিনেতা।

পাঁচ
ব্র্যাড পিট
গ্লোডেন গ্লোব, স্ক্রীন অ্যাকটর গিল্ড অ্যাওয়ার্ড, বাফটা সহ সব ধরনের বড় পুরস্কার তার ঝুলিতে রয়েছে। এমনকি অস্কারও তিনি পেয়েছেন তবে অভিনেতা হিসেবে নয় প্রযোজক হিসেবে। “টুয়েলভ ইয়ার অব স্লেভ” এর প্রযোজক হিসেবে তিনি এই খেতাব জিতেন। কিন্তু অভিনেতা হিসেবে তিন তিন বার মনোনয়ন পেয়েও তিনি অস্কার জিততে পারেননি।
তার অস্কার মনোনিত ছবি গুলো হচ্ছে  টুয়েলভ মাংকিস, দ্যা কিউরিয়াস কেস অব বেঞ্জামিন বাটন, এবং মানিবল। 

চার
রিচার্ড বার্টন
সাত সাতটা বার অস্কার মনোনয়ন পেয়েও জীবনে একবারও অস্কার জিততে পারেন। ষাটের দশকে তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতা। বক্স অফিস হিট করা এবং অনেক পুরস্কার প্রাপ্ত এই গুনি অভিনেতা ১৯৮৪ সালে মারা যান  ।
রিচার্ড বার্টনের অস্কার মনোনয়ন প্রাপ্ত ছবি হলো হচ্ছে
মাই কাজিন র‍্যাচেল (সেরা পার্শ্ব চরিত্র)
দ্যা রোব
বেকেট
দ্যা স্পাই হু কেম ইন ফ্রম কোল্ড
হুস আফ্রেড অব ভার্জিনিয়া ওলফ
অ্যানে অব দ্যা থাউজেন্ড ডেইজ
এবং  ইকুয়াস

তিন
লিওনার্দো ডি ক্যাপরি
সেরা ছবি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ; “টাইটেনিক” ছবির জ্যাক ডসনের কথাই বলছি । এই নামেই তিনি ‘টাইটানিকে’র নায়ক চরিত্রে অভিনয় করে পৃথিবীর সিনেমা ইতিহাসে নিজের নাম অক্ষয় করে ফেলেছেন বহু আগে । খুব কম অভিনেতাই নিজের প্রথম ছবি দিয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়েছেনদুইবার গ্লোডেন গ্লোব সহ ক্রিটিকস চয়েস মুভি অ্যাওয়ার্ড এর খেতাব জেতা পাঁচ বার মনোনয়ন পাওয়া এই অভিনেতা তার দীর্ঘ বিশ বছরের চলচ্চিত্র জগৎ এ  কোন বারই অস্কার হাতে তুলতে পারেননি। তার অভিনীত মোট সাতটি চলচ্চিত্র অস্কার মনোনিত হয়েছে তার মধ্যে দুটি সেরা চলচ্চিত্রের খেতাব জিতেছে। টাইটেনিক ছবিতে মূল ভূমিকা অভিনয় করে সমালোচক ও দর্শকদের ভুয়সী প্রশংসা পাওয়া এই অভিনেতা সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার বঞ্চিত হওয়াটা ছিল বিস্ময়কর ঘটনা। টাইটেনিক ছাড়াও সেরা পার্শ্ব চরিত্রের জন্য  ‘হোয়াটস্‌ ইটিং গিলবার্ট গ্রেপ’ এবং ‘দ্যা অ্যাভিয়েটর,ব্লাড ডায়মন্ড’, ‘দ্যা ওলফ অব দ্যা ওয়াল স্ট্রিট’ ছবি গুলোতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার মনোনয়ন পান।

দুই
গ্যারি লিওনার্দো ওল্ডম্যান
বলা হয়ে থাকে জীবিত কিংবদন্তীর মাঝে তিনি অন্যতম যিনি কোন অস্কার জিততে পারেনি। বিশ্ব চলচ্চিত্র অঙ্গনে সর্বোচ্চ সকল পুরস্কার একাধিক অর্জন করতে পারলেও অস্কার পুরস্কার এখনো তার অধরা রয়ে গেছে। তার সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য যা  তাকে সবার থেকে আলাদা করে রেখেছে সেটা হচ্ছে তার অভিনয়ের বিষ্ময়কর বহুমুখী প্রতিভা। প্রধান চরিত্র, খল চরিত্র, কমেডি, সিরিসাস যেকোন ধরনের চরিত্রে তিনি সফল হয়েছেন।একমাত্র “টিনকার টেইলার সোলজারস্‌ স্পাই” ছবির জন্য তিনি সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার মনোনয়ন পান।
এক
পিটার ও’টুল
ষাট বছর অভিনয় জীবনে চারবার গোল্ডেন গ্লোব সহ বাফটা, অ্যামি ও অনারী একাডেমি সহ  অনেক  পুরস্কার। তুখোড় এই অভিনেতা সর্বোচ্চ আটবার অস্কারের জন্য মনোনয়ন পান। তার মনোনয়ন প্রাপ্ত ছবি গুলো হচ্ছে লরেন্স অব অ্যারাবিয়া, বেকেট, দ্যা লায়ন ইন উইনটার,গুড বাই, মিস্টার চিপস্‌, দ্যা রুলিং ক্লাস, দ্যা স্টান্ট ম্যান, মাই ফেবারিট ইয়ার এবং  ভেনাস। কিন্তু তার দীর্ঘ অভিনয় জীবনে তিনি কখনই অস্কার পদকটি উঁচিয়ে তুলতে পারেননি। ২০১৩ সালে ১৪ই ডিসেম্বর এই মহান অভিনেতা  পরলোক গমন করেন।




  

ফটোগ্রাফির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস - জাহিদ হাসান রাসেল




একাদশ শতাব্দির দিকে আরবের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আল হাসান ইবন আল হাইতাম প্রথম ক্যামেরার তত্ত্ব আবিষ্কার করেন। যদিও তার ক্যামেরা ছবি তোলার জন্য ব্যবহার হয়নি, বরং সূর্যগ্রহণ দেখার কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় । মূলত এই ক্যামেরার মৌলিক টেকনিক দ্বারাই ছবি তলার ক্যামেরার সূত্রপাত হয়। আল হাসান ইবন আল হাইতামকে ফাদার অব অপটিকস বলা হয় ।

১৫শ শতাব্দীতে পিনহোল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা হত, তখন লেন্সের কোন ব্যবহার ছিলনা। কিন্তু ১৫৫০ সালে জিরোলামো কারদামো প্রথম লেন্স ক্যামেরা ব্যবহার করে অধিকতর শার্প ছবির সূচনা করেন ।


তখনকার ক্যামেরায় যখন ছবি তলা হত তখন ক্যামেরার ভেতরে আলো এবং ছায়ার ইমেজ তৈরি হত আর এই ইমেজকে ফটোসেন্সেটিভ রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা স্থায়ী রূপ দেয়া যায় কিনা সে সম্পর্কে বছরের পর বছর গবেষণা চলতে থাকে ।

                                      



১৮২৬ সালে ফ্রান্সের বিজ্ঞানী জোসেফ নিসফোর নিপে এমন একটি ফটোসেন্সেটিভ রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার আবিষ্কার করেন যা দ্বারা পরবর্তীতে আলোতে নষ্ট হয় না, এমন ছবি তৈরি করা সম্ভব হয় । কিন্তু এই পদার্থের উপর ছবি তৈরি করার জন্য প্রায় আট ঘন্টা ধরে এক্সপোজ করার প্রয়োজন হত । অর্থাৎ এ দিয়ে নড়ে-চড়ে এমন বিষয় বস্তুর ছবি তোলা সম্ভব হত না ।








ছবি : সংগৃহীত
এটি বিশ্বের প্রথম ফটোগ্রাফ যা নেয়া হয়েছিল ১৮২৭ জোসেফ নিসফোর নিপের ঘরের ভিউ থেকে । তখন ফটোগ্রাফ না বলে এর নাম দেয়া হয়ে ছিল হেলিওগ্রাফ ।


১৮৩৭ সালে লুই জ্যাকুয়ে দ্যাগোয়ে (ফ্রান্স) সিলভার আয়োডাইড ব্যবহার করে ৫ থেকে ৪০ মিনিট সময় ধরে এক্সপোজার এ ছবি তোলা সম্ভব করেন।

১৮৩৯ সালে  লুই জ্যাকুয়ে দ্যাগোয়ে (ফ্রান্স) এবং উইলিয়াম হেনরি (ইংল্যান্ড) স্বাধীনভাবে ফটোগ্রাফি শব্দটি ব্যবহার করেন। গ্রীক শব্দ ‘’ফটোজ’’ এবং গ্রাফোজ থেকে ফটোগ্রাফি শব্দটি চলে আসে। ফটোজ অর্থ আলো এবং গ্রাফোজ অর্থ আঁকা এই শব্দ দুটিকেই মিলিয়ে ফটোগ্রাফ শব্দটির উৎপত্তি।


মূলত এ পর্যন্ত ছবি তৈরি করা হত ধাতব পদার্থের উপর, পরবর্তীতে কাগজের উপর ছবি করা যায় কি না তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ইংল্যান্ডের উইলিয়াম হেনরি ফক্স এবং তিনি কাগজের নেগেটিভ এবং তা থেকে কাগজের পজিটিভ ছবি তৈরী করতে সমর্থ হন।

 “ ব্যুলের্ভাড দ্য টেম্পল” ( "Boulevard du Temple" ) ১৯৩৮ ‍সালে প্যারিসে লুই জ্যাকুয়ে দ্যাগোয়ে তোলা


১৮৩৯ সালের ১৯শে আগস্ট অ্যারাগো আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রান্স সরকারের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিভাগের কাছে দ্যাগোয়ের কতৃক সেই সময়ের ফটগ্রাফিক টেকনোলজি ব্যাখ্যা করেন। ফ্রান্স সরকার এই প্রযুক্তির কপিরাইট ক্রয় করেন এবং সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য এই প্রযুক্তিকে উন্মুক্ত করেন। এটাই ছিল একটি সরকার এবং পৃথিবীর মানুষের কাছে ফটোগ্রাফির প্রযুক্তির প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি। এই দিনটিকে World Photographic Day বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস হিসেবে পালন করে আসা হচ্ছে।

১৮৭৮  সালে চার্লস বেনেট জিলেটিনের সাহায্যে ফিল্ম তৈরি করেন। এই ফিল্মে এক সেকেন্ডের পঁচিশ  ভাগের এক ভাগ সময়ে ছবি তোলা সম্ভব হয়। ১৮৮৮ সালে অ্যামেরিকার জর্জ ইস্টম্যান প্রথম কোডাক ক্যামেরার প্রচলন করেন। তখনই সেলুলয়েডের ওপর ফিল্ম তৈরি শুরু হয়।

ডিজিটাল ফটোগ্রাফির উত্থান

১৯৬৯ সালের অক্টবর মাসে বেল ল্যাবে জর্জ স্মিথ এবং উইলার্ড বয়েল যুক্তভাবে চার্জড কাপল ডিভাইস (CCD) এক ধরনের ইমেজ সেন্সর আবিষ্কার করেন। ১৯৭০ সালে স্মিথ এবং বয়েল সিসিডিকে প্রথম সলিড স্টেট ভিডিও ক্যামেরায় ব্যবহার করেন।

১৯৮৬ সালে  কোডাক এর বিজ্ঞানীরা একটি ইমেজ সেন্সর তৈরি করতে সমর্থ হন, যা ১.৪ মেগাপিক্সেল ছবি দিতে পারে। এ থেকে ৫x৭ ইঞ্চি ভাল মানের প্রিন্ট দেয়া সম্ভভ হত। ১৯৮৭ সালে কোডাক স্টিল ভিডিও ইমেজ রেকর্ড , স্টোর, ম্যানিপিউলেট, ট্রান্সমিট এবং প্রিন্ট করার জন্য সাত ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র বাজারে ছাড়েন।

১৯৯১ সালে কোডাক নাইকন f3 ক্যামেরায় ১.৩ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর বসিয়ে ফটোজারনালিস্টদের উপযোগী করে প্রফেশনাল ডিজিটাল ক্যামেরা সিস্টেম (dcs) বাজারে ছাড়েন।

বাংলাদেশে ফটোগ্রাফি

জনাব মঞ্জুর আলম বেগ ১৯৬০ সালে বেগার্ট ইন্সটিটিউট অব ফটোগ্রাফি এবিং ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (BPS) প্রতিষ্ঠা করেন। ফটোগ্রাফির শিক্ষা বিস্তার এবং ফটোগ্রাফারদের সংগঠিত করার ব্যাপারে অসামান্য ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের আলোকচিত্রীগণ তাকে আলোকচিত্রাচার্য উপাধিতে ভূষিত করেন।

১৯৬৪ সালে সমাজকল্যাণ দফতর ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার বোর্ডের আওতায় পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ফটোগ্রাফিক ট্রেনিং সেন্টার চালু করা হয়। বিশিষ্ট ফটো সাংবাদিক গলাম মাওলা এখানে শিক্ষকতা করতেন।


জনাব মঞ্জুর আলম বেগ এর তোলা ছবি।

ছবি : গোলাম কাশেম ড্যাডি

ছবি : রশিদ তালুকদার

ছবি : বিজন সরকার।